হবিগঞ্জ, ১৬ মার্চ : গাছ সুরক্ষায় পেরেক অপসারন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা প্রশাসন এবং বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ হবিগঞ্জ। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মাসব্যাপী পেরেক অপসারণ কর্মসূচি আওতায় এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেনজেলা প্রশাসক ডক্টর মোঃ ফরিদুর রহমান। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এবিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল, ইসলামী ফাউন্ডেশনের উপ -পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল প্রমুখ। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম, বৃন্দাবন সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে পেরেক দিয়ে সাঁটানো বিলবোর্ড, ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো: জাহাঙ্গীর আলম, এনডিসি জামাল উদ্দিন, বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, জীব-বৈচিত্র কর্মকর্তা সাবরিনা সাইদা শিমু, সাংবাদিক অবদুল হালিম, জিয়াউল হক রাজুসহ বন বিভাগের লোকজন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাপা, সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, গাছ আমাদের বন্ধু। একেকটি গাছ একেকটি অক্সিজেন ফেক্টরি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গাছে পেরেক ঢুকিয়ে বিলবোর্ড, ফেস্টুন স্থাপন করে প্রচারণা করছে যা গাছের প্রতি অন্যায় ও নিষ্ঠুরতার সামিল। এতে করে সৌন্দর্যহানিসহ গাছের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। যে গাছ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, সেই গাছের ক্ষতি রক্ষায় পেরেক ঢুকানোসহ সকল ধরনের অত্যাচার বন্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গাছের শরীরে পেরেক ঢুকানোর কারণে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। গাছের বৃদ্ধি বাজার প্রাপ্ত হয় এবং জীবনী শক্তি আস্তে আস্তে নষ্ট হয়। গাছের সুরক্ষার জন্য পেরেক না দেওয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যার যার প্রতিষ্ঠান থেকে গাছের পেরেক অপসারণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।